আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের কর্মসংস্থান হয়, লক্ষীকুন্ডার জনসমাবেশে, গালিবুর রহমান শরীফ


ঈশ্বরদী নিউজ টুয়েন্টিফোরঃ প্রকাশের সময় : অক্টোবর ২০, ২০২৩, ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ /
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের কর্মসংস্থান হয়, লক্ষীকুন্ডার জনসমাবেশে, গালিবুর রহমান শরীফ

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের কর্মসংস্থান হয়, মানুষ শান্তিতে থাকে তাই শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধায় উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে লক্ষীকুন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ আওয়ামী লীগের টানা কয়েকবার ক্ষমতাই থাকার উন্নয়ন চিত্র তুলো ধরে বলে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাই আসার পরে ঈশ্বরদীতে ইপিজেড নির্মিত হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার মা–ভাই–বোনদের কর্মসংস্থান হয়েছে। সকলে ভালভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছে। আজ এই অঞ্চলে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মান হচ্ছে।যেখানে লক্ষীকুন্ডার বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়া লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট এমন কোন উন্নয়ন নাই, যা আওয়ামী লীগ সরকারের হয়েছে। আমার প্রয়াত পিতার হাত ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সবই দিয়েছেন।

 

গালিবুর রহমান শরীফ আবেগআপ্লুত হয়ে বলেন, ১৯৯৬ সালে আমার প্রয়াত পিতা যখন জাতীয় সংসদের নির্বাচনে দাঁড়ালেন। তখন দেখেছি এই লক্ষীকুন্ডার প্রিয় মানুষগুলো এখান থেকে তাকে বুকে সাহষ জুগিয়েছে। ঈশ্বরদীতে তার জন্য বারবার গিয়েছে,সেখানে জনসমুদ্র তৈরী করে তার মনে শক্তি জুগিয়েছে।

সেইভাবে আমি মনে করি, এবার আমি তার যোগ্য সন্তান হতে পেরেছি কিনা? আমি জানি না। কিন্তু আপনারা আমাকে নিয়ে বুকের মধ্যে স্বপ্ন বেধে যেভাবে সাহষ জুগিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার লক্ষীকুন্ডার মানুষ, আমার সাথে থাকলে,আমি জানি, আমার বাবা যেভাবে রাজনীতি করে গেছেন। আমার করা কাজকর্ম দিয়ে আমি আমার প্রয়াত পিতার স্মৃতিকে আপনাদের বুকের মাঝে জাগ্রত রাখতে চাই। আমি আমার কাজের মধ্য দিয়ে প্রয়াত বাবার স্মৃতি যেন সুন্দরভাবে রাখতে পারি। এখানে অনেক মুরব্বী আছেন, যাদের সাথে আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেছেন, পথ চলেছেন, বিভিন্ন কাজকর্ম করেছেন।

 

আজ এখানে উপস্থিত আছেন, আমার পরিবারের অভিভাবক, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত আমার শ্রদ্ধেয় ছোট চাচা। তিনি আপনাদের সামনে আমাকে দাঁড় করিয়েছেন। আপনারা আমাকে সেই দোয়াটা করবেন কিনা? লক্ষীকুন্ডাবাসী আমাকে কী সেই সাহষ যোগাবেন? এসময় কয়েক হাজার জনতা হ্যাঁ হ্যাঁ বলে দুইহাত তুলে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে লক্ষীকুন্ডাবাসী গালিবুর রহমান শরীফকে সমর্থন জানান।

এসময় গালিবুর রহমান শরীফ বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী নিশ্চয় জানবেন, এই লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের মানুষ কীভাবে তার প্রাণপ্রিয় নেতার জন্য তার স্মৃতিকে ধরে রাখবার জন্য তার প্রিয় সন্তানকে নিয়ে কিভাবে সমাবেত হয়েছেন। লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নবাসীকে উদ্দ্যেশ্য করে গালিব বলেন, আমার পূর্ব পুরুষেরা আপনাদের খেদমত করেছেন। আমি ক্ষুদ্র মানুষ হিসেবে আপনাদের কথা দিলাম, আল্লাহ্ তালা যদি আমাকে তৌফিক দান করে, আমি আপনাদের জন্য আজীবন আপনাদের পাশে থেকে ভালোমন্দ, সুখ দুঃখ দূর্দশার পাশে থাকব।

আপনারা জানেন, আমরা প্রয়াত বাবা ও আমাদের পরিবার, আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকে এ অঞ্চলে তারা নেতৃত্ব দিয়েছেন আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে ভূমি মন্ত্রনালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় দিয়ে আমাদের সকলকে গর্বিত করেছেন। লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নবাসী আমাদের পাশে থাকলে ইনশাআল্লাহ আমরা সেই পুরোনা ঐতিহ্য আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসব। লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নে যা উন্নয়ন হয়েছে,আমার প্রয়াত পিতা চাচা আপনাদের সাথে থেকে যে উন্নয়নের কাজ করেছে। আমাদের কাছে এই ইউনিয়নবাসীকে কোনকিছু চাইতে হবে না।

গালিবুর রহমান শরীফ বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অনেকেই প্রার্থী হবেন। আমাকে আপনারা যদি দোয়া করে দেন, আমি মনোনয়ন চাইবো। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি বিভিন্ন জায়গা খোঁজ খবর নিয়ে, যারা জনপ্রিয়, তার দলের জন্য, মানুষের মন জয় করে কাজ করতে সক্ষম। তিনি তাদেরকেই আগামীতে মনোনয়ন দিবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি,এবার ইনশাআল্লাহ তিনি আমাকে মনোনয়ন দিবেন। এসময়ে সমাবেত জনতা মুহুর্মুহু করতালি আর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে জনসমাবেশ।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ এসময় আরও বলেন, লক্ষীকুন্ডার প্রত্যেকটি মানুষের সাথে আমার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। লক্ষীকুন্ডাবাসীর সাথে কোন বিভাজন নাই। বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে যেমন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, আমার কাছে তেমন জায়গা আমার লক্ষীকুন্ডা। তাই লক্ষীকুন্ডার সবাইকে বুঁকে আগলে রেখেই আমি তাদের খেদমত করতে চাই, আমি আশাবাদী আপনাদের আকুতি এবার জননেত্রী শুনবেন।

লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমানিকের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিস উর রহমান শরীফ, ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল।

এছাড়াও স্বাগত বক্তব্যে রাখেন, আওয়ামীলীগ নেতা, জিয়াউল হক জিয়া, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আলফাজ উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য রোকনুজ্জামান রুবেল, যুবলীগ নেতা জামিরুল হোসেন, জামাল উদ্দিন জয়, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক য সাহান হোসেন নূর যুগ্ম আহবায়ক রায়হান বিশ্বাস, রোকনুজ্জামান রুবেল বিশ্বাস।

error: Content is protected !!