ঈশ্বরদীতে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভ্যান চালক আবু বকর সিদ্দিক মণ্ডল হত্যা মামলার দুই আসামীকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি দুই আসামীর তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
বুধবার (১সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান এ রায় ঘোষনা করেন।
নিহত আবু বকর সিদ্দিক মন্ডল ঈশ্বরদী উপজেলার চরমিরকামারি গ্রামের ছকির মন্ডলের ছেলে।
মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুস সামাদ খান রতন। এদিকে আসামী পক্ষে ছিলেন আবুল কালাম আজাদ রেন্টু।
সরকারী কৌশুলী আব্দুস সামাদ খান রতন জানান, মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামীরা হলেন ঈশ্বরদী উপজেলার চরমিরকামারি গ্রামের নুরু সাহার ছেলে রব্বেল (৪০) ঈশ্বরদী শহরের মশুড়িয়াপাড়া এলাকার গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে রুবেল (৩০)
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল সন্ধার পর ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় ভ্যান ভাড়া করে আবু বকরকে ডেকে নিয়ে যায় আসামীরা। পরে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। পরের দিন ঈশ্বরদী-পাবনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা ইনিষ্টিটিউটের প্রাচীরের পাশে হাত পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়ের করে
আবু বকরের পরিবার।
পুলিশ রব্বেল,রুবেল,শিপন,রফিকুল, রাব্বিকে আটক করে। পরে পুলিশে জেরার একপর্যায়ে রব্বেল এবং রুবেল আবু বকরকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করে। রফিকুল ও শিপনের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ইঞ্জিন চালিত ভ্যানটি উদ্ধার করে। পরে আসামীরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে সাক্ষী প্রমাণ শেষে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) মামলার রায়,ঘোষনা করা হয়।
এদিকে মামলার এক আসামী রাব্বি হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার প্রমান না পাওয়ার কারণে বেকসুর খালাস পেয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :