দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা উদ্ধার কাজ শেষে বেলা সাড়ে ১২ টার সময় খুলনার সাথে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন।
এদিকে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রধান করে উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত দলের অন্য সদস্যরা হলেন- পাকশী বিভাগীয় সংকেত প্রকৌশলী রাজিব বিল্লাহ, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) আশিশ কুমার মণ্ডল, পাকশী বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম এবং পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী (১) বিরবল মণ্ডল।
প্রসঙ্গত চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার উথলী রেলওয়ে স্টেশনে মালবাহী ট্রেনের ৪ টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় খুলনার সাথে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। রবিবার রাত ১২ টা ৪০ মিনিটের সময় উথলী স্টেশনের সামনে লুপ লাইনে বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়। পরে সকাল সাড়ে ৭ টার সময় ঈশ্বরদী হতে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। এ ঘটনার পর উথলী রেলওয়ে স্টেশনের পার্শবর্তী দর্শনা, আনছারবাড়ীয়া, সাবদালপুর এবং চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে ৪ টি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকা পড়ে।
উথলী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আলী জানান, খুলনা থেকে ডিজেল নিয়ে নাটোরের উদ্দেশ্যে ৩০ টি বগি নিয়ে মালবাহী ট্রেনটি উথলী রেলওয়ে স্টেশনে আসে। ক্রসিংয়ের জন্য ট্রেনটি ২ নম্বর লাইনে নেওয়া হয়ে। রবিবার রাত ১২ টা ৪০ মিনিটের সময় ক্রসিং শেষে ট্রেনটি নাটোরের উদ্দেশে ছাড়ে। ট্রেনটি ২ নম্বর লাইন থেকে ১ নম্বর লাইনে ঢোকার ১৪/১৫ নম্বর পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় ৪ টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ কারণে এলাইনে ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পর ঈশ্বরদী থেকে সকাল সাড়ে ৭ টার সময় উদ্ধারকারী রিলিফট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার কাজ শেষে বেলা ১২ টার সময় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আপনার মতামত লিখুন :