পাবনায় হু হু করে বাড়ছে পানি, বিপদসীমা ছুঁইছুঁই


ঈশ্বরদী নিউজ টুয়েন্টিফোরঃ প্রকাশের সময় : আগস্ট ২৩, ২০২১, ৮:৫৩ পূর্বাহ্ণ /
পাবনায় হু হু করে বাড়ছে পানি, বিপদসীমা ছুঁইছুঁই
  • পাবনার ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানিও বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার।

শুক্রবারে এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল ১৪ দশমিক ১৭ মিটার। শনিবার বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ২৩ মিটার। ফলে পদ্মর পানি এখন বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই।

হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫টি স্প্যানের নিচেই এখন পানিতে পরিপূর্ণ। নদী শাসন বাঁধ পর্যন্ত (গাইড ব্যাংক) পানি পৌঁছে গেছে। অথচ মাসখানেক আগেও ১৫টি স্প্যানের ৮টির নিচেই পানি ছিল না। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে অস্থায়ী যে দোকানপাট গড়ে উঠেছিল, সেগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রমত্তা পদ্মার তীব্র স্রোত ও পানির তীব্রতা দেখতে শত শত মানুষ পদ্মা পাড়ে ভিড় জমাচ্ছেন।

পানি বাড়ায় পদ্মার চরে জেগে উঠা সাঁড়া ইউনিয়নের সাহেবনগর ও মোল্লার চরের বসতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। স্রোতের তীব্রতায় চরের অধিকাংশ ফসলি জমি ডুবে গেছে। এছাড়াও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাঁড়া, পাকশী ও লক্ষ্ণীকুন্ডা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।

 

 

গত মঙ্গলবার থেকেই নদী তীরবর্তী এলাকাতে বাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়েছে। নতুন করে সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়িয়া পাল পাড়ায় নিমাই রায়, হরিপদের ও গোপালপুরের নিজাম, হুজুর আলীর বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

 

এছাড়াও উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের চরকামালপুর, বিলকাদা, চরকুড়ুলিয়া প্রভৃতি এলাকায় ফসলি জমিতে পানি প্লাবিত হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

 

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন শুক্রবার জানান, পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পয়েন্টে পানির উচ্চতা এখন ১৪ দশমিক ১৭ মিটার। পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ মিটার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ জানান, গত তিনদিনে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা, সাঁড়া, পাকশী ও সাহাপুর ইউনিয়নের কিছু এলাকায় ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করায় ২৫৫ হেক্টর জমির মূলা, মিষ্টি কুমড়া, করলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি, ৩৫ হেক্টর মাসকালাই, ৩৪ হেক্টর আখ ও ২ শত হেক্টর জমির কলার ক্ষতি হয়েছে।

error: Content is protected !!