মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধকল্পে আরোপিত বিধি-নিষেধের কার্যক্রম পর্যালোচনা ও কোডিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা প্রদান কার্যক্রম জোরদারকরণ’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পরে ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চলবে। শিল্পপতিরা অনুরোধ করেছিলেন, আমরা সেই রিকোয়েস্ট গ্রহণ করতে পারছি না। টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। এনআইডি কার্ড নিয়ে যে যাবেন তাকেই টিকা দেওয়া হবে। জনপ্রতিনিধিসহ সবাইকে টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে। আমরা টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করব। যে টিকা আছে তা দিয়েই শুরু করব। ’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, লকডাউনের মাধ্যমে করোনা রোধ করা যাবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এজন্য টিকাদানে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে টিকাদানকেন্দ্র খোলা হবে। যারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে পারবেন তাদের টিকা দেওয়া হবে। টিকা আরও হাতে এলে ওয়ার্ড পর্যায়েও টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ৫০ ঊর্ধ্ব বয়স যাদের তাদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এজন্য তাদের দ্রুত ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদানকেন্দ্রে এনআইডি নিয়ে এসে টিকা নিতে হবে। ’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন থাকবে না তাদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :