অগ্নিকাণ্ডে ৫১ মৃত্যু, জামিন পেলেন হাসেম ও তার ছেলেরা


ঈশ্বরদী নিউজ টুয়েন্টিফোরঃ প্রকাশের সময় : জুলাই ২৩, ২০২১, ২:২৫ পূর্বাহ্ণ /
অগ্নিকাণ্ডে ৫১ মৃত্যু, জামিন পেলেন হাসেম ও তার ছেলেরা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা মামলায় গ্রেফতার আট জনের মধ্যে হাসেম গ্রুপের মালিক আবুল হাসেমসহ তার দুই ছেলেকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৯ জুলাই) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আনিসুর রহমানের আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত এ জামিন দেন।

 

জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম (৭০) ও তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫)। এর আগে জামিন পান তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১)।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, আজ হাসেমসহ তার দুই ছেলের জামিন দিয়েছেন আদালত। এর আগে আরও দুই ছেলের জামিন হয়েছিল। বাকিরা কারাগারে রয়েছেন।

এর আগে বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেলে চার দিনের রিমান্ড শেষে তাদের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে আসামিপক্ষ সবার জামিনের আবেদন করলে আদালত আরও দু’জনকে জামিনের আদেশ দেন।

এর আগে শনিবার (১০ জুলাই) গ্রেফতার আট জনকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭ ধারায় হত্যা এবং হত্যা প্রচেষ্টার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করলে আদালত প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, হত্যা ও হত্যার অভিযোগে ৩০২, ৩২৬, ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭ ধারায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেমসহ আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

গ্রেফতার আটজন হলেন- সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসেম (৭০), তার ছেলে হাসীব বিন হাসেম ওরফে সজীব (৩৯), তারেক ইব্রাহীম (৩৫), তাওসীব ইব্রাহীম (৩৩), তানজীম ইব্রাহীম (২১), শাহান শান আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৩) ও মো. সালাউদ্দিন (৩০)।

এদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন- শাহান শান আজাদ (৪৩), মামুনুর রশিদ (৫৩) ও মো. সালাউদ্দিন (৩০)।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝরে গেছে ৫১ প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

error: Content is protected !!